খুদে কণাদের জগৎ বড় অদ্ভুত। সে জগতে আমাদের প্রচলিত ধ্যানধারণা হোঁচট খায়। একটা শিশু যখন প্রথম হাঁটতে শেখে, দেয়ালের সঙ্গে বারবার ধাক্কা খেয়ে সেও বুঝে যায় দেয়াল ভেদ করে ওপারে যাওয়া সম্ভব নয়। একে কাণ্ডজ্ঞান বলে। কিন্তু কোয়ান্টাম তত্ত্বে দেয়াল ভেদ করে বেরিয়ে যাওয়া একটা স্বাভাবিক ঘটনা।
কোয়ান্টামের জগতে যত অদ্ভুত নিয়ম আছে, তা ভৌতিক সিনেমাকেও হার মানায়। তবু এ জগৎ অবাস্তব নয়। এই অদ্ভুতুড়ে নিয়মের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের চালিকাশক্তি। যত দিন গড়াচ্ছে ততই কোয়ান্টাম তত্ত্ব অজানা রহস্যের দুয়ার খুলে দিচ্ছে। সে হোক টেলিপোর্টেশন কিংবা টাইম ট্রাভেল।
১৯০০ সাল থেকে কোয়ান্টাম তত্ত্বের পথচলা শুরু। এক বইটিতে সে পথেরই একটা সহজ ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যে ম্যাপ বগলদাবা করে আপনি কোয়ান্টামের পাগলাটে এক দুনিয়ায় পাড়ি দিতে পারবেন একেবারে পথ না হারিয়েই।