‘দ্য লাস্ট পোয়েট অব কাশ্মীর’ এক গভীর বেদনা ও প্রতিরোধের গল্প। এটি শুধু একজন কবির নয়—পুরো কাশ্মীরের আত্মার প্রতিচ্ছবি। বইটিতে কাশ্মীরের প্রকৃতি, যুদ্ধ, প্রেম ও হারানোর ইতিহাস কবিতার ভাষায় ফুটে উঠেছে। লেখক দেখিয়েছেন, কাশ্মীর কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, এটি এক অবরুদ্ধ কবিতার দেশ—যেখানে প্রতিটি শ্বাসে আছে সংগ্রাম, প্রতিটি নীরবতায় একটুকরো কবিতা।
বইয়ের মূল থিম হলো—
“যখন বন্দুকের শব্দে নীরব হয় উপত্যকা, তখন শেষ কবিই বলে ওঠে মানুষের কথা।”
এই বইয়ে কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতা, ধর্মীয় বিভাজন, এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও বেদনা মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অনন্য কাব্যজগৎ।
রুমি গবেষক মরিয়ম মাফি ‘দ্য লিটল বুক অব উইজডম’-এ আন্তরিকতার সঙ্গে ও তাঁর পাণ্ডিত্য দিয়ে রুমির রচনা থেকে জীবন-সঞ্চারী সেরা উদ্ধৃতিগুলো সংকলন ও ইংরেজিতে অনুবাদ করে বিপুল জনসমষ্টির কাছে রুমির বক্তব্যকে সহজ করে তুলে ধরেছেন। বইটিতে রুমির সূক্ষ্ম কৌতুক, তাঁর কথা বলার চমৎকার ধরন এবং তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ প্রেম ধারণ করেছেন।
আজকের মিডিয়া-নির্ভর জীবনে আমরা প্রতিদিন মৃত্যু ও ধ্বংসের খবর দ্বারা ক্ষতবিক্ষত। আমাদের প্রয়োজন রুমির দৃঢ় আস্থার সার্বক্ষণিক স্মরণ যে, শুধু ভয়কে পদানত করতে পারে শুধু আশা এবং মরিয়ম মাফি এই বার্তা সুস্পষ্টভাবে ‘রুমি’স লিটল বুক অব উইজডম’-এ তুলে ধরেছেন।
জালালুদ্দিন রুমির সুফি মজলিসে আলোচ্য বিষয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিকভাবে অনুপ্রেরণামূলক ও হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী। আগ্রহের বিষয়গুলো শুধু সুফিবাদ ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং নৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আচরণগত ও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা হতো, যেসব সমস্যা মানুষকে সর্বত্র সমভাবে পীড়িত করে। কেউ যখন গভীর মনোযোগে রুমির কবিতাগুলো পাঠ করার সময় কথাগুলোকে তাদের হৃদয়ে প্রবেশ করতে দেবেন, তাঁকে হৃদয়ে স্বাগত জানাবেন, তখন তিনি তাঁর সীমাহীন জ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবেন।