যারা আত্মহত্যা করেন তাদের মনােজগতের গঠনটিই বা কেমন?
ভালােবাসা-আবেগ-অভিমান নিয়ে কেমন মানুষ তারা? উপলব্ধির কোন পরিস্থিতিতে এসে মানুষ আত্মঘাতী হবার চরম সিদ্ধান্তে অটল হতে পারে? আবার বেঁচে থাকার উল্টোদিকে দাঁড়াবার এই অদম্য সাহসও তাে জীবনের আর এক সম্ভাবনা, খুব কম জনই সে সাহস দেখাবার হিম্মত রাখে।
লেখক কুমার চক্রবর্তী আত্মহত্যার ঐতিহাসিক পটভূমি থেকে শুরু করে এর ধারাবাহিক। অনুসন্ধানেই লিপ্ত থাকেননি, বিষয়টিকে সম্ভাব্য। সব কোণ থেকে অবলােকনের চেষ্টা। চালিয়েছেন। উত্তর খুঁজেছেন কিছু মৌলিক দার্শনিক প্রশ্নেরও। জীবন বলতে কী বুঝি, মৃত্যুর ভূমিকা কতটুকু, অস্তিত্বের কোনাে অর্থ। আছে না এর পুরােটাই নিরর্থক? জীবনের আদি ও অন্তের প্রশ্নে আদৌ কোনাে তাৎপর্য আছে কি নেই? আর এ কারণে তাকে বিপুল ধৈর্য নিয়ে অনবরত খুঁড়তে হয়েছে পুরাণ, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, মনােবিজ্ঞান সর্বোপরি প্রাচীন থেকে আধুনিক সাহিত্যের অলিগলি।
জানামতে বাংলাভাষায় আত্মহত্যা নিয়ে পরিশ্রমী ও গবেষণালব্ধ এরকম কাজ এর আগে আর একটিও হয়নি।