চিলতে রোদে

সাহিত্যকে মানুষ ডিফাইন করে নানানভাবে। তার মধ্যে একটা ভালো ডেফিনেশন হলো-সাহিত্য সমাজের আয়না। সমাজকে-এর সকল পেশা, বয়স, মানুষ, ধর্ম, চিন্তার প্রতিচ্ছবি থাকবে সাহিত্যে। বাংলাদেশের সাহিত্য-এ দিক থেকে দুর্বল। এ দেশের সাহিত্যে খালি হাতে গোনা জিনিসই উঠে এসেছে। আয়না হিসেবে এদেশের সাহিত্য ব্যর্থ। এই বইয়ে কবিতাগুলার মূল চরিত্র কিশোর ক্ষেত্রবিশেষে কিশোরী। বয়স পনেরো—ষোলো কিংবা সতেরো। এ বয়সের লেখা বাংলা সাহিত্যে কম। হ্যাঁ, আপনি বলতে পারেন যে এই বয়সের ক্যারেক্টার প্রচুর আছে এ দেশের সাহিত্যে, কিন্তু ঐ বয়সের লেখক/লেখিকা নেই। পরিণত বয়সের লেখকেরাই কিশোর বয়সের হয়ে লেখাটা লিখেছেন। ফলে লেখা থেকে ঐ পবিত্রতা/সারল্য টা অনেক গায়েব হয়ে গেছে। বা সোজা কথায় ‘ভেজাল’ ঢুকে গেছে। লেখকেরা ঐ শুদ্ধতা ছুঁতে চেষ্টা করেন, আদতে পারেন না। সাহিত্যে কি শুধু বুড়োদের জায়গা? সাহিত্য এতো সংকীর্ণ নয়। আমার লেখাগুলো ষোলো, সতেরো—আঠারোর দিকের। ভেজালমুক্ত যাকে বলে। আমি সেগুলো নিয়ে সাহিত্যের অসীম উদারতায় স্থান নিতে আসলাম।  কৈশোর-পৃথিবীতে স্বর্গীয় সময়। আমাদের প্রথম অনুভব। ওপর থেকে আসে স্রষ্টার ‘হারাম’ রহমত-যাকে আপনারা ডাকেন প্রেম নামে। সেই বয়সে আমার ওপরও এসেছিল খোদার রহমত, মতান্তরে গযব। সেই বিভ্রান্তির শুভ্র সময়ে আমার ওপর নাযিল হ� �ো কবিতা। নবুয়তপ্রাপ্ত আমি, নাযিলকৃত আয়াতগুলোকে দুমলাটে ঢেকে ফেললাম শুধু। মলাটের ওপরে লিখলাম ‘চিলতে রোদে’; আর ভেতরে রাখলাম এক চিলতে বয়সের পবিত্রতম কবিতাগুলোকে…।